আতা ফলের পুষ্টিমান ও উপকারিতা||Atafoler Upokarita||আতার উপকারিতা
আতা ফলের পুষ্টিমান ও উপকারিতা,Atafoler Upokarita,আতার উপকারিতা,আতার গুনাগুণ,আতা,আতা অ্যানোনেসি (Annonaceae) পরিবারভুক্ত এক ধরণের যৌগিক ফল। এটি শরিফা, শরীফা এবং নোনা নামেও পরিচিত। এই ফলের ভিতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। প্রতিটি কোষের ভেতরে থাকে একটি করে বীজ, বীজকে ঘিরে থাকা নরম ও রসালো অংশই খেতে হয়। পাকা ফলের বীজ কালো এবং কাঁচা ফলের বীজ সাদা।আতাফলের আদি নিবাস পূর্ব আমেরিকা। বহু বছর আগে এ ফলটি পূর্ব আমেরিকা থেকে ভারতবর্ষে আসে। এখন পুরো উপমহাদেশে এই ফল দেখা যায়। আতাফল শরীফা এবং নোনা নামেও পরিচিত। তবে অঞ্চলভেদে কিছু পার্থক্য রয়েছে। আতাফলের রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রজাতি ও প্রকরণ।প্রায় সব ফলের চেয়ে আতাফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এতে প্রোটিনের পরিমাণ অধিকাংশ ফলের চেয়ে ৪-৬ গুণ বেশি। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ আনারস, কমলা, পেঁপে, কাঁঠাল, তরমুজ ও আঙ্গুরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি এবং আপেল, কলা, আম, ডালিম, পেয়ারা ও লিচুর চেয়ে ৪০ গুণ বেশি। অন্যসব ফলের চেয়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি।এই ফলের ভেতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। প্রতিটি কোষের ভেতরে থাকে একটি করে বীজ। বীজকে ঘিরে থাকা নরম ও রসালো অংশটিকেই খেতে হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাদ্য উপাদান রয়েছে। এছাড়া কিছু ভেষজ গুণও রয়েছে। যেমন পাকা আতার শাঁস বলকারক, বাত-পিত্তনাশক ও বমনরোধক।আতাফলে রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি এর উপস্থিতির কারনে চমৎকার চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বীকার সহায়তা করতে পারে এর খাদ্যআঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে। এর পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। আতা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা একটি উন্নতমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রক্ষা করে। এছাড়া ত্বকে বার্ধক্য বিলম্বিত করে। আতা ফলের ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশির জড়তা দূর করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আতাফলের খাদ্যউপাদান এনিমিয়া প্রতিরোধ করে।আতাগাছের শেকড়ের ছাল আমাশয়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আতাফলের শাঁসের রস রক্তের শক্তি বৃদ্ধিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অপুষ্টিজনিত সমস্যায় আতাফলের রসের সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। যে ফোঁড়া পাকেও না আবার বসেও না, এমন ফোঁড়ায় আতার বীজ বা পাতা বেটে সামান্য লবণ মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে পুঁজ বের হয়ে যায়। পাতার রস উকুননাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
Nulledfile.com is a theme, plugin, Script and software sharing Web site. We Shared all premium theme and plugin without any fee. Stay Connected with us.